০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিয়োগে সুপারিশের আশায় আমার কাছে কেউ আসবেন না : সারজিস

অপরাধ দিগন্ত ডেস্কঃ- মেধার বিপরীতে ‘সুপারিশ’ গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার নামান্তর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। নিয়োগে কোনো প্রকার সুপারিশের আশায় তার কাছে বা এনসিপির কোনো নেতার কাছে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন সারজিস। এনসিপি শতভাগ স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, ‘পঞ্চগড়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ হচ্ছে। এখন ফিটনেস পরীক্ষা চলছে। এরপর ৫০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা হবে। সবশেষে ১৫ মার্কের ভাইভা হবে।

ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লিখিত এবং ভাইভার ৬৫ মার্কের ওপর নির্ভর করবে তার চাকরি হবে কি না। অর্থাৎ এখানে রিটেন পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে রিটেনে যত ভালো করবে, তার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। গতবার প্রায় ৫০০+ পরীক্ষার্থী ফিটনেসে উত্তীর্ণ হয়ে রিটেন এবং ভাইভা দিয়েছিল।

এর মধ্যে ফাইনালি ২৮ জন নিয়োগ পেয়েছিল। ভাইভায় মোটামুটি বেসিক জ্ঞান থাকলে ১৫-এর মধ্যে ৭-৮ এমনিতেই পায়। সেখানে ভাইভায় সুপারিশ করে ২-৪ মার্ক বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই, যদি আপনি রিটেনে ভালো না করতে পারেন। যেহেতু রিটেনে ভাইভার তিন গুণ মার্কস রয়েছে, তাই যদি আপনি পুলিশের কনস্টেবল হতে চান, তাহলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথায় আসি।

ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই রিটেন ভাইভার প্রিপারেশন বাদ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা বা সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন। জেলা পুলিশ পঞ্চগড় নিশ্চিত করেছে, পঞ্চগড়ে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। কোনো ধরনের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, “কোটা না মেধা; এই স্লোগান দিয়ে একটা অভ্যুত্থান হয়েছে। দেড় হাজারের অধিক মানুষ জীবন দিয়েছে। অর্ধ-লাখের অধিক মানুষ রক্ত দিয়েছে। সেখানে ‘মেধা’র বিপরীতে ‘সুপারিশ’ এই অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার নামান্তর। দয়া করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার কাছে কেউ কোনো ধরনের সুপারিশের আশায় আসবেন না এবং আহ্বান থাকবে, অন্য কোনো দলের কোনো নেতার কাছেও যাবেন না। বরং আমরা চাইব বাংলাদেশ পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে এবং সব রাজনৈতিক দলের নেতারা- আমরা সেখানে সহযোগিতা করব, মেধার জয় নিশ্চিত করব।”

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

rafiqul islam

মিরপুরে তিতাস গ্যাসের লোক দেখানো অভিযান

নিয়োগে সুপারিশের আশায় আমার কাছে কেউ আসবেন না : সারজিস

Update Time : ০২:৪২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

অপরাধ দিগন্ত ডেস্কঃ- মেধার বিপরীতে ‘সুপারিশ’ গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার নামান্তর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। নিয়োগে কোনো প্রকার সুপারিশের আশায় তার কাছে বা এনসিপির কোনো নেতার কাছে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন সারজিস। এনসিপি শতভাগ স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, ‘পঞ্চগড়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ হচ্ছে। এখন ফিটনেস পরীক্ষা চলছে। এরপর ৫০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা হবে। সবশেষে ১৫ মার্কের ভাইভা হবে।

ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লিখিত এবং ভাইভার ৬৫ মার্কের ওপর নির্ভর করবে তার চাকরি হবে কি না। অর্থাৎ এখানে রিটেন পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে রিটেনে যত ভালো করবে, তার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। গতবার প্রায় ৫০০+ পরীক্ষার্থী ফিটনেসে উত্তীর্ণ হয়ে রিটেন এবং ভাইভা দিয়েছিল।

এর মধ্যে ফাইনালি ২৮ জন নিয়োগ পেয়েছিল। ভাইভায় মোটামুটি বেসিক জ্ঞান থাকলে ১৫-এর মধ্যে ৭-৮ এমনিতেই পায়। সেখানে ভাইভায় সুপারিশ করে ২-৪ মার্ক বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই, যদি আপনি রিটেনে ভালো না করতে পারেন। যেহেতু রিটেনে ভাইভার তিন গুণ মার্কস রয়েছে, তাই যদি আপনি পুলিশের কনস্টেবল হতে চান, তাহলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথায় আসি।

ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই রিটেন ভাইভার প্রিপারেশন বাদ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা বা সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন। জেলা পুলিশ পঞ্চগড় নিশ্চিত করেছে, পঞ্চগড়ে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। কোনো ধরনের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, “কোটা না মেধা; এই স্লোগান দিয়ে একটা অভ্যুত্থান হয়েছে। দেড় হাজারের অধিক মানুষ জীবন দিয়েছে। অর্ধ-লাখের অধিক মানুষ রক্ত দিয়েছে। সেখানে ‘মেধা’র বিপরীতে ‘সুপারিশ’ এই অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার নামান্তর। দয়া করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার কাছে কেউ কোনো ধরনের সুপারিশের আশায় আসবেন না এবং আহ্বান থাকবে, অন্য কোনো দলের কোনো নেতার কাছেও যাবেন না। বরং আমরা চাইব বাংলাদেশ পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে এবং সব রাজনৈতিক দলের নেতারা- আমরা সেখানে সহযোগিতা করব, মেধার জয় নিশ্চিত করব।”