০৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়াসার পানিতে পোকা, বাসিন্দাদের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- ‘গোসল করতে গেলেন, শাওয়ার ছাড়লেন। পানির সঙ্গে যদি পোকা এসে গায়ে পড়ে কেমন লাগবে? এটাই আমার সঙ্গে হয়েছে। এত নোংরা পানি, সঙ্গে কী সব কালো ছোট্ট পোকা, দেখলেই গা গুলিয়ে আসে। এভাবে কি পানি ব্যবহার করা সম্ভব!’

কথাগুলো রাজধানীর কল্যাণপুরের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা কাকলী খানের। গত বুধবার ফেসবুকে ‘কল্যাণপুর’ নামের একটি গ্রুপে পানি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ কথাগুলো লেখেন তিনি।

খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার ৮ নম্বর সড়কে ১৫-২০ দিন ধরে পানির সঙ্গে লাল কেঁচো ও পোকা আসছে
খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার ৮ নম্বর সড়কে ১৫-২০ দিন ধরে পানির সঙ্গে লাল কেঁচো ও পোকা আসছেছবি: প্রথম আলো
পানিতে পোকার সমস্যা জানিয়ে কল্যাণপুরের বাসিন্দাদের ওই ফেসবুক গ্রুপে প্রতিদিনই লেখালেখি হচ্ছে। শুধু কল্যাণপুর নয়, রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা বা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির সমস্যার অভিযোগ উঠেছে। পোকা পাওয়া যাচ্ছে শুধু ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে। পোকার রং কোথাও লালচে, কোথাও কালো।

পোকা পাওয়া যাচ্ছে এমন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষয়টি ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে পানি সংরক্ষণাগার ও বাসার ছাদের ট্যাংক পরিষ্কারের কথা বলা হয়। কিন্তু এসব করার পরও পানিতে পোকা আসছে। পরে এ কথা জানালে পানির কলের মুখে ছাঁকনি বা কাপড় বাঁধতে বলছেন ওয়াসার কর্মীরা। এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তাঁরা।

পানির ভেতর কেঁচোর বাচ্চা। লাল ও ছোট লম্বা সুতার মতো পোকা। কী যন্ত্রণায় আছি। এর কি কোনো সমাধান হবে না?
কেয়া আক্তার, মুগদার মানিকনগর এলাকার বাসিন্দা
তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দাবি, পোকার অভিযোগ যেসব এলাকা থেকে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে কর্মী পাঠিয়ে পানি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পরীক্ষা করে কোনো পোকা পাওয়া যাচ্ছে না। পোকাগুলো বাসাবাড়িতে ভূগর্ভস্থ বা ছাদের ট্যাংকে হতে পারে। ট্যাংক পরিষ্কার করলেই এ সমস্যা থাকবে না। পোকা আসছে দেড় মাস ধরে।

কল্যাণপুরের ১ নম্বর সড়কের একটি গলি। মসজিদ গলি নামে পরিচিত ওই এলাকায় বাসাবাড়ি আছে ২৭টি। বুধবার ওই গলির অন্তত ১৫টি বাড়ির বাসিন্দা, বাসার তত্ত্বাবধায়ক বা প্রহরীর সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। সবাই পানিতে পোকা আসার বিষয়টি জানান। প্রায় দেড় মাস ধরে ওই গলির সব বাসার পানিতেই পোকা আসছে বলে জানালেন তাঁরা।

মসজিদ গলির ১৫/৭-৮ বাসার সাততলার বাসিন্দা মোল্লা গোলাম আজম বলেন, ‘মার্চের শুরুর দিকে হঠাৎ একদিন সকালে দেখি পানিতে পোকা। পরে নিয়মিতই পানিতে পোকা আসতে থাকে। বিষয়টি ওয়াসাকে জানালে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে বলে। গত ২৯ মার্চ বাসার দুটো ট্যাংকই (রিজার্ভার ও ছাদে বসানো ট্যাংক) পরিষ্কার করানো হয়। এরপরও পোকা আসছে।’

পানিতে পোকা সমস্যার সমাধান পেতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ১৫/৩-বি নম্বর বাসার তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘পানির বিলের কাগজে দেওয়া নম্বরে কল দিয়ে পোকার সমস্যাটি জানিয়েছিলাম। জানাইল, নলের মুখে (কল) পাতলা সুতি কাপড় বান্দেন। এখন কাপড় বান্দিছি। এভাবেই পানি ছাঁকিটাকি ব্যবহার করছি।’

পোকার পাশাপাশি কালো গন্ধযুক্ত পানির কথা জানান মসজিদ গলির ১৫/৬/১ নম্বর বাসার বাসিন্দা খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি কালো দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসতে শুরু করে। মার্চের শুরু থেকে গন্ধ কিছুটা কমে গেছে। এখন পানির সঙ্গে আধা ইঞ্চি আকারের লাল লাল পোকা আসছে।

শুধু মসজিদ গলি নয়, কল্যাণপুর এলাকার বিভিন্ন সড়কের বাসাবাড়ির পানিতেও পোকা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এর মধ্যে কল্যাণপুরের ১, ২, ৯, ১০ ও ১১ নম্বর সড়কের বিভিন্ন বাসায় প্রায় দেড় মাস ধরে পানির সঙ্গে লালচে পোকা পাওয়া যাচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানান।

তবে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) এ কে এম সহিদ উদ্দিন দাবি করেন, গ্রাহকদের বাসাবাড়িতে ভূগর্ভস্থ ও ছাদে পানি সংরক্ষণের যে ট্যাংক আছে, সেখানেই সমস্যাটি হচ্ছে। এসব পরিষ্কার করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একই সমস্যা বিভিন্ন এলাকায়।

শুধু কল্যাণপুর নয়, তেজগাঁও, মালিবাগ, মগবাজার, মধুবাগ, বাসাবো, মানিকনগরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ওয়াসার পানির সঙ্গে পোকা আসছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান, কোথাও এক মাস আগে থেকে, কোথাও আবার ২০ দিন ধরে, কোনো কোনো এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে এ সমস্যা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার জানিয়েছেন, তিন মাস আগে থেকেই হঠাৎ হঠাৎ পানিতে এমন পোকা দেখা গেলেও মার্চ মাসজুড়ে পানিতে পোকার পরিমাণ বেড়ে গেছে।

মুগদার মানিকনগর এলাকার মিয়াজান লেনের বাসিন্দা কেয়া আক্তার। তিনি ৬ এপ্রিল ‘মানিকনগর’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে পানির সমস্যা নিয়ে পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘পানির ভেতর কেঁচোর বাচ্চা। লাল ও ছোট লম্বা সুতার মতো পোকা। কী যন্ত্রণায় আছি। এর কি কোনো সমাধান হবে না?’

খিলগাঁওয়ের তারাবাগ এলাকার ১ নম্বর সড়কের বাসিন্দা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সোহেলি বেগম বলেন, পোকার কারণে বাড়িওয়ালা ট্যাংকও পরিষ্কার করিয়েছেন। কোনো লাভ হয়নি।

ফাতেমা তুজ জোহরা নামের খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার ৮ নম্বর সড়কের এক বাসিন্দা বলেন, ১৫-২০ দিন ধরে পানির সঙ্গে লাল কেঁচো ও সাদা লার্ভার মতো পোকা আসছে। সম্প্রতি দুবার বাসার দুটি ট্যাংক পরিষ্কার করানো হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে পানি কিনে খাচ্ছেন।

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার পানিতে পোকা আসার বিষয়টি স্বীকার করেন ঢাকা ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা। মূলত সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার থেকে সরবরাহ করা পানিতে পোকা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তাঁরা। কর্মকর্তারা বলেন, ওই শোধনাগার থেকে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

rafiqul islam

মিরপুরে তিতাস গ্যাসের লোক দেখানো অভিযান

ওয়াসার পানিতে পোকা, বাসিন্দাদের ভোগান্তি

Update Time : ১২:১৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- ‘গোসল করতে গেলেন, শাওয়ার ছাড়লেন। পানির সঙ্গে যদি পোকা এসে গায়ে পড়ে কেমন লাগবে? এটাই আমার সঙ্গে হয়েছে। এত নোংরা পানি, সঙ্গে কী সব কালো ছোট্ট পোকা, দেখলেই গা গুলিয়ে আসে। এভাবে কি পানি ব্যবহার করা সম্ভব!’

কথাগুলো রাজধানীর কল্যাণপুরের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা কাকলী খানের। গত বুধবার ফেসবুকে ‘কল্যাণপুর’ নামের একটি গ্রুপে পানি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ কথাগুলো লেখেন তিনি।

খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার ৮ নম্বর সড়কে ১৫-২০ দিন ধরে পানির সঙ্গে লাল কেঁচো ও পোকা আসছে
খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার ৮ নম্বর সড়কে ১৫-২০ দিন ধরে পানির সঙ্গে লাল কেঁচো ও পোকা আসছেছবি: প্রথম আলো
পানিতে পোকার সমস্যা জানিয়ে কল্যাণপুরের বাসিন্দাদের ওই ফেসবুক গ্রুপে প্রতিদিনই লেখালেখি হচ্ছে। শুধু কল্যাণপুর নয়, রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা বা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির সমস্যার অভিযোগ উঠেছে। পোকা পাওয়া যাচ্ছে শুধু ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে। পোকার রং কোথাও লালচে, কোথাও কালো।

পোকা পাওয়া যাচ্ছে এমন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষয়টি ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে পানি সংরক্ষণাগার ও বাসার ছাদের ট্যাংক পরিষ্কারের কথা বলা হয়। কিন্তু এসব করার পরও পানিতে পোকা আসছে। পরে এ কথা জানালে পানির কলের মুখে ছাঁকনি বা কাপড় বাঁধতে বলছেন ওয়াসার কর্মীরা। এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তাঁরা।

পানির ভেতর কেঁচোর বাচ্চা। লাল ও ছোট লম্বা সুতার মতো পোকা। কী যন্ত্রণায় আছি। এর কি কোনো সমাধান হবে না?
কেয়া আক্তার, মুগদার মানিকনগর এলাকার বাসিন্দা
তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দাবি, পোকার অভিযোগ যেসব এলাকা থেকে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে কর্মী পাঠিয়ে পানি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পরীক্ষা করে কোনো পোকা পাওয়া যাচ্ছে না। পোকাগুলো বাসাবাড়িতে ভূগর্ভস্থ বা ছাদের ট্যাংকে হতে পারে। ট্যাংক পরিষ্কার করলেই এ সমস্যা থাকবে না। পোকা আসছে দেড় মাস ধরে।

কল্যাণপুরের ১ নম্বর সড়কের একটি গলি। মসজিদ গলি নামে পরিচিত ওই এলাকায় বাসাবাড়ি আছে ২৭টি। বুধবার ওই গলির অন্তত ১৫টি বাড়ির বাসিন্দা, বাসার তত্ত্বাবধায়ক বা প্রহরীর সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। সবাই পানিতে পোকা আসার বিষয়টি জানান। প্রায় দেড় মাস ধরে ওই গলির সব বাসার পানিতেই পোকা আসছে বলে জানালেন তাঁরা।

মসজিদ গলির ১৫/৭-৮ বাসার সাততলার বাসিন্দা মোল্লা গোলাম আজম বলেন, ‘মার্চের শুরুর দিকে হঠাৎ একদিন সকালে দেখি পানিতে পোকা। পরে নিয়মিতই পানিতে পোকা আসতে থাকে। বিষয়টি ওয়াসাকে জানালে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে বলে। গত ২৯ মার্চ বাসার দুটো ট্যাংকই (রিজার্ভার ও ছাদে বসানো ট্যাংক) পরিষ্কার করানো হয়। এরপরও পোকা আসছে।’

পানিতে পোকা সমস্যার সমাধান পেতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ১৫/৩-বি নম্বর বাসার তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘পানির বিলের কাগজে দেওয়া নম্বরে কল দিয়ে পোকার সমস্যাটি জানিয়েছিলাম। জানাইল, নলের মুখে (কল) পাতলা সুতি কাপড় বান্দেন। এখন কাপড় বান্দিছি। এভাবেই পানি ছাঁকিটাকি ব্যবহার করছি।’

পোকার পাশাপাশি কালো গন্ধযুক্ত পানির কথা জানান মসজিদ গলির ১৫/৬/১ নম্বর বাসার বাসিন্দা খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি কালো দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসতে শুরু করে। মার্চের শুরু থেকে গন্ধ কিছুটা কমে গেছে। এখন পানির সঙ্গে আধা ইঞ্চি আকারের লাল লাল পোকা আসছে।

শুধু মসজিদ গলি নয়, কল্যাণপুর এলাকার বিভিন্ন সড়কের বাসাবাড়ির পানিতেও পোকা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এর মধ্যে কল্যাণপুরের ১, ২, ৯, ১০ ও ১১ নম্বর সড়কের বিভিন্ন বাসায় প্রায় দেড় মাস ধরে পানির সঙ্গে লালচে পোকা পাওয়া যাচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানান।

তবে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) এ কে এম সহিদ উদ্দিন দাবি করেন, গ্রাহকদের বাসাবাড়িতে ভূগর্ভস্থ ও ছাদে পানি সংরক্ষণের যে ট্যাংক আছে, সেখানেই সমস্যাটি হচ্ছে। এসব পরিষ্কার করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একই সমস্যা বিভিন্ন এলাকায়।

শুধু কল্যাণপুর নয়, তেজগাঁও, মালিবাগ, মগবাজার, মধুবাগ, বাসাবো, মানিকনগরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ওয়াসার পানির সঙ্গে পোকা আসছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান, কোথাও এক মাস আগে থেকে, কোথাও আবার ২০ দিন ধরে, কোনো কোনো এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে এ সমস্যা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার জানিয়েছেন, তিন মাস আগে থেকেই হঠাৎ হঠাৎ পানিতে এমন পোকা দেখা গেলেও মার্চ মাসজুড়ে পানিতে পোকার পরিমাণ বেড়ে গেছে।

মুগদার মানিকনগর এলাকার মিয়াজান লেনের বাসিন্দা কেয়া আক্তার। তিনি ৬ এপ্রিল ‘মানিকনগর’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে পানির সমস্যা নিয়ে পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘পানির ভেতর কেঁচোর বাচ্চা। লাল ও ছোট লম্বা সুতার মতো পোকা। কী যন্ত্রণায় আছি। এর কি কোনো সমাধান হবে না?’

খিলগাঁওয়ের তারাবাগ এলাকার ১ নম্বর সড়কের বাসিন্দা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সোহেলি বেগম বলেন, পোকার কারণে বাড়িওয়ালা ট্যাংকও পরিষ্কার করিয়েছেন। কোনো লাভ হয়নি।

ফাতেমা তুজ জোহরা নামের খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার ৮ নম্বর সড়কের এক বাসিন্দা বলেন, ১৫-২০ দিন ধরে পানির সঙ্গে লাল কেঁচো ও সাদা লার্ভার মতো পোকা আসছে। সম্প্রতি দুবার বাসার দুটি ট্যাংক পরিষ্কার করানো হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে পানি কিনে খাচ্ছেন।

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার পানিতে পোকা আসার বিষয়টি স্বীকার করেন ঢাকা ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা। মূলত সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার থেকে সরবরাহ করা পানিতে পোকা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তাঁরা। কর্মকর্তারা বলেন, ওই শোধনাগার থেকে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।